একই সময়ে গাজার হাসপাতাল সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত কয়েক ঘন্টায় বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণের ফলে কমপক্ষে ৬০ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে। গাজা শহরের পূর্বে আল-তুফাহ এলাকায় দু'টি হামলায় বিশ জন শহীদ হয়েছেন।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের কামান হামলা এবং ওই অঞ্চলে ইসরাইলি সেনাদের ভারী গুলিবর্ষণের ফলে দুই শিশুর শহীদ হওয়ার খবর বেরিয়েছে। এই সূত্র বলছে, গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসে ইহুদিবাদী ইসরাইলের নৃশংস বিমান হামলা হয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো উত্তর গাজার জাবালিয়ার পূর্বে দখলদার বাহিনীর মাধ্যমে ভবন ধ্বংসের খবর দিয়েছে। খান ইউনিসের পশ্চিমে একটি শরণার্থী শিবির লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এর ফলে এক শিশু এবং দুই মহিলাসহ পাঁচজন শহীদ হয়েছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব শিগগিরই যুদ্ধবিরতি চুক্তি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। ইহুদিবাদী সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়ুথ আহারনোথ জানিয়েছে, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ট্রাম্প গাজা যুদ্ধের দ্রুত অবসান চাইছেন।
ইসরাইলের টিভি চ্যানেল 'টুয়েলভ' একজন মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি চাইছেন। নেতানিয়াহু রোববার একটি গোপন নিরাপত্তা সভা করবেন, তারপর নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেবে তারা যুদ্ধবিরতিতে যাবে নাকি সম্পূর্ণ গাজাকে দখলে নেবে!
এদিকে, জেরুজালেম এবং তেল আবিবে বসতি স্থাপনকারীরা সব বন্দীকে ফিরিয়ে আনার এবং যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। ইহুদিবাদী সূত্রগুলো যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া বা বন্ধ করা নিয়ে ইহুদিবাদীদের মধ্যে বিভক্তির খবর দিয়েছে।
Your Comment